কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম ও ৮ম শ্রেণির আংশিক বই পৌছঁলেও ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণীর কোন পাঠ্যবই উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে পৌঁছেনি। এদিকে বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি কার্যক্রম শেষের পথে হলেও শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে হতাশায় দিন কাটছে তাদের। কভিড-১৯ এর কারণে পূর্বের শ্রেণীতে পাঠ্যবই পড়ার তেমন সুযোগ না হলেও নতুন শ্রেনিতে ভর্তি হয়ে বই পাওয়ার ও পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে শিক্ষার্থীদের। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে হাজির হচ্ছে বই পাওয়ার আকাংখায়। কিন্তু বই না পেয়ে হতাশায় ফিরে আসতে হচ্ছে। এমনি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে জ্উানিয়ার চর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান আকবর হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ১১৪ সেট বই পেয়েছিলাম তা ওই শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করেছি। অন্যন্য শ্রেণীর বইয়ের চাহিদা দিয়েছি। পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করব। রাজিবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক জানান,তার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ৫৫ সেট এবং ৮ম শ্রেনীর ৫৫ সেট বই পেয়েছেন। তবে ওই শ্রেণীর সকল সেট পাওয়া যায়নি। ৭ম শ্রেণীর ৭টি করে এবং ৮ম শ্রেণীর ৬টি করে বই পাওয়া গেছে। যা শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
চর রাজিবপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে,এ বছর উপজেলার মাধ্যমিক (স্কুল) শাখার জন্য যে চাহিদা পদান করেছেন, সে অনুপাতে পাঠ্যবই তাদের কাছে পৌছেঁনি। অফিস সুত্রে জানা গেছে,৬ষ্ঠ শ্রেনিতে চাহিদা দেওয়া ছিল ১৯ হাজার ৮০৮ ,বুধবার (৫জানুয়ারি)পর্যন্ত ৬ষ্ঠ শ্রেণির কোন বই তাদের কাছে পৌছেঁনি। ৭ম শ্রেণির চাহিদা দেওয়া ছিল ১৮ হাজার ৪৮০। তার মধ্যে ৯ হাজার ২৪০ পাওয়া গেছে। যা বিদ্যালয় গুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। ৮ম শেণির চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৫৯০ তার মধ্যে ৭ হাজার ১১০ সেট পাওয়া গেছে। ৯ম শ্রেণির চাহিদা দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৪০০,কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি বই পাওয়া যায়নি। উপজেলার মোট চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৫০ বইয়ের তার মধ্যে ১৬ হাজার ৩৫০ বই পাওয়া গেছে।তবে পাওয়া মাত্রই বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।