রাজশাহীর বাঘায় জহরুল ইসলাম নামের এক মোবাইল সেলসম্যানন গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার তেঁথুলিয়া শিকদার পাড়ার পূর্ব মাঠের নির্জন এক আম বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জহুরুল ইসলাম উপজেলার মনিগ্রামের রফিকুর ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দাঁ, একটি হাসুয়া, একটি গ্যাস লাইট, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, হেলমেট উদ্ধার করেছে। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষনিক কিছু জানা যায়নি।
নিহতের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে তার কর্মস্থল পানিকুমড়া বাজারের সততা এন্টারপ্রাইজে যায়। বিকেল ৫টায় তার মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে থাকেন। রাত ১১টা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না পেয়ে সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী হাসান বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন।
বুধবার সকালে তার লাম পাওয়া গেছে মর্মে খবর আসে।
সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী হাসান জানান, খেজুর গাছের রস নামানোর লোকজন আম বাগান দিয়ে যাওয়ার পথে গলাকাটা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে দেখে জহুরুল ইসলামের লাশ সনাক্ত করা হয়। জহুরুল ইসলাম আমার দোকন থেকে বিভিন্ন কোম্পানির মুঠোফোন দোকানে দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্য সকালে মার্কেটের উদ্দেশ্য রওনা হয়। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর, ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ওই যুবককে কেন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ ব্যাপারে নিহতের আত্মীয় স্বজনসহ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, রাজশাহীর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোর শোকের মাতম। ১ সন্তানের জনককে হারিয়ে নির্বাক বাবা রফিকুল ইসলাম, মা জমেনা বেগম ও স্ত্রী রিমা বেগমসহ তার আত্মীয় স্বজন। তাদের কান্নায় চোখের পানি ধররে রাখতে পারছিলেন না স্থানীয়রাও।