কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সহ ৩ উপজেলার খাদ্য গুদাম গুলোতে আমন সংগ্রহ অভিযানে সরারচর খাদ্য গুদামে গত কয়েকদিনে ১২শত কেজি ধান সংগ্রহ হয়েছে এবং নিকলী খাদ্য গুদামে মাত্র ২০০ কেজি ধান সংগ্রহ হয়েছে বলে খাদ্য গুদাম সূত্রে জানাগেছে। জানা যায়, সরকার প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩৭ টাকা ধরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাজারে প্রতি মন ধান কৃষক ১১শত টাকা থেকে ১২শত টাকা ধরে বিক্রি করতে পারছে। সে কারণে সরকারি খাদ্য গুদাম গুলোতে সরকারি চাহিদা অনুযায়ী ধান কিনতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। গত অর্থ বছরে কৃষকরা বাজিতপুর সহ সারাদেশে লক্ষ লক্ষ একর জমি পতিত ছিল। এই বছর ধানের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা হাওরের পতিত জমি গুলোতে উৎসাহিত হয়ে ইরি বোরো ধান রোপন করছেন বলে কৃষক কূল সূত্রে জানাগেছে। অন্যদিকে খাদ্য গুদামের চাহিদা হারাচ্ছে। কারণ চাল সংগ্রহ খাদ্য গুদামে যেখানে সরকারি নির্ধারিত মূল্য ৩৭ টাকা সেখানে প্রতি কৃষকের ৫ টাকা লস দিয়ে কেউ খাদ্য গুদাম গুলোতে ধান দিচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। নিকলী খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দুলাল মিয়া বুধবার এই প্রতিবেদককে জানান, এই বছর তাদের আমন সংগ্রহ ৯৩ টন ধরা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২০০ কেজি ধান সংগ্রহ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।