বাগেরহাটের চিতলমারী বুধবার হাটে প্রকাশ্যে বিক্রিকালে ৩৯টি কচ্ছপ জব্দ করেছে বন বিভাগ। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এগুলো উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পর চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মারুফুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত কচ্ছপ বিক্রেতাদের নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন বিল এলাকা হতে বিভিন্ন ধরণের কচ্ছপ সপ্তাহের দুই হাটের দিন চিতলমারী এনে বিক্রি করতো। এই খবর পেয়ে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে চিতলমারীর দড়িউমাজুড়ি গ্রামের মৃত. নলিন হীরার ছেলে বকুল হীরা (৫০) এবং খাসেরহাটের মৃত. হরিবর হালদারের ছেলে সুভাষ হালদারকে (৬৫) কচ্ছপ বিক্রিকালে আটক করে। তারা কচ্ছপগুলো উদ্ধার করেন। এরপর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ভ্রাম্যমান আদালতে অপরাধীদের জরিমানা ধার্য হয়।
অপরাধীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৬(গ) এবং ৩৪ (খ) ধারায় শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। কচ্ছপ ধরা, বহন করা, ক্রয়-বিক্রয় এবং ভক্ষণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কচ্ছপের অসামান্য অবদান রয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলো নিরাপদ জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে।
কচ্ছপ বিক্রেতা সুভাষ হালদার জানান, কচ্ছপ বিক্রি করা যে অন্যায়- একথা তারা জানেন না।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ খুলনা বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, কচ্ছপ উদ্ধারকালে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী, জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট পাভেল শেখ, মিঠুন সরকার, অনিমেশ চন্দ্র মিরবর, মো. শাহীন প্রমূখ।