পাটকেলঘাটার দক্ষিন বিলের জমিতে ইরিচাষাবাদ নিয়ে দুঃচিন্তায় কৃষক। অধিকাংশ খালের পানি প্রবাহ বন্ধ থাকার কারনে শত শত একর জমিতে ইরিচাষাবাদ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য ঘের, খালে নেটপাটা সহ নদ নদী শাসনের কারনে এমনটি হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। বিলে পানি বেশি থাকার কারনে বীজতলা তৈরীতে কৃষকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। বর্তমানে ইরিচাষাবাদের মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষক জমি তৈরী করতে পারছে না ফলে কৃষকরা হতাশয় দিন পার করছে। অধিকাংশ জমিতে এখনও হাটু পরিমান পানি। জলাবদ্ধতার কারনে সবুজ ফসলের পরিবর্তে কচুরিপানা ও শেওলায় ভরে গেছে বিল। পানি চলাচলের খাল গুলো ভরে গেছে শেওলা আর কচুরিপানায় । যে কারনে পাটকেলঘাটার নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা ,খলিষখালী, মিঠাবাড়ী দক্ষিন, হরিনখোলা, কাপাসডাঙ্গা, শাকদহ, বড়বিলা, জুজখোলা খোদ্দ, পুটিয়াখালী, চোমরখালী, বিশ্বাসের আবাদ, আমতলাডাঙ্গার বিল, ডুমুরীর বিল, দলুয়া, গাছা, মশাডাঙ্গা, তৈলকুপি, হোগলাডাঙ্গা, কাশিয়াডাঙ্গা, বিনেরপোতা সহ নগরঘাটা,সরুলিয়া,খলিষখালী তিনটি ইউনিয়নের কয়েক শত হেক্টর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। পানি নিষ্কাষন পথ প্রায় বন্ধ ফলে ইরি চাষাবাদ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। জলাবদ্ধ এলাকার সাধারন কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন আমন ফসল হয়নি এবার ইরি চাষাবাদ হুমকির মুখে কিন্তু জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। যে কারনে এ অঞ্চলের কৃষক সমাজ হতাশায় দিন পার করছে। অনেক এলাকায় উচু জমিতে বীজ তলা তৈরী করলেও শীতে চারা নষ্ট হচ্ছে ।
সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকারের নংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী চাষীরা।