আগামী ১৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। তবে এবার প্রার্থীদের মাইকিং প্রচারণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী। প্রার্থীদের প্রচারণায় উচ্চমাত্রায় মাইকিং এর আওয়াজে চরম বিরক্তিতে রয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে শহরের রাস্তার পাশে থাকা বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন।
শহরের খরমপট্টি মোড়ের মো. জনি নামের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার পাশেই আমার দোকান। দুপুরের পর থেকে একটার পর একটা মাইক আসতে থাকে। মাইকের উচ্চ শব্দে দোকানে বসে থাকতে পারি না। দেখা গেছে কাস্টমার একটা কথা বললে আরেকটা শুনি।
এখানকার আরেক ব্যবসায়ী মিজান বলেন, মাইকের শব্দের যন্ত্রণায় খুব বিরক্তে আছি। যদি মাইকের আওয়াজটা কমিয়ে প্রচার করা হয় তাহলে ভালো হতো। মাইকিং এ প্রচার কম করে প্রার্থীরা লিফলেট দিয়ে ভোটারদের কাছে প্রচার করলে আমরা কিছুটা স্বস্থিরতা পাবো।
অপরদিকে শহরের হারুয়া এলাকার বাসিন্দা হাফছা আক্তার নামের একজন নারী অভিযোগ করে বলেন আমাদের বাচ্চারা সন্ধ্যায় যখন পড়তে বসে তখন মাইকিং এর আওয়াজে পড়তে পারে না। বাড়িতে থাকা বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদেরও খুব সমস্যা হয়।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা পোস্টার, লিফলেট মাইকিং এর মাধ্যমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রচারণা চালাচেছন। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী বলা আছে পৌর নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কিছু প্রার্থীদের একাধিক মাইক ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। শুধু মাইক নয় উচ্চ আওয়াজের সাউন্ড স্পিকারও ব্যবহার করছেন অনেক প্রার্থীরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে একসাথে একাধিক মাইকের আওয়াজে প্রকট শব্দ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচারণায় প্রার্থীরা যেন এখন শব্দযন্ত্র ব্যবহারের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
এ নিয়ে কিশোরঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন জানান, প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীরা দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্ধারিত সংখ্যক শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন। প্রার্থীদের আচরণবিধি মানার তদারকিতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাঠে কাজ করছেন। কোন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।