পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদ নিয়ে সিরাজগঞ্জ পাড়ি দিয়েছিলেন মো. শাহিনুর ইসলাম। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ছিল না তার কোন যোগাযোগ। প্রায় ২৬ বছর পর সেই স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো। দেখা হতেই দুই হাতের আহ্বানে মো. শাহিনুর ইসলাম বুকে জড়িয়ে নিলেন ১৯৯৫ ব্যাচের সহপাঠীরা। মো. শাহিনুর ইসলামের মতো অনেকেই ঐ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে এবং সপরিবার নিয়ে আনন্দঘন দিন কাটালেন জয়পুরহাটের কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি ( সেই সময় সরকারি ছিলো না) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনের এই আনন্দ আয়োজন করেন ১৯৯৫ সালেন এস, এস, সি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বহুদিন পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই আবেগঘন আলিঙ্গনায়- কোথায় ছিলি এতদিন ? কত দিন পর তোদের সঙ্গে দেখা হলো, শরীর কেমন যাচ্ছে এখন, এমন নানা প্রশ্নে-আড্ডায় মুখরিত হয়ে আনন্দ, হৈ-হুল্লোড় আর স্মৃতিতে মেতে ওঠে ঐ স্কুলমাঠ। হয় দুপুরে এক প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠান।
দিনভর আনন্দ আয়োজনের শুরু হয়েছিল শোভাযাত্রার মাধ্যমে। “আবারও দেখা হলো নতুন করে, ফিরে যাই কৈশরে”..আহ্বানে স্কুল চত্বর থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মিনফুজুর রহমান মিলন শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। এরপর তার নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আশপাশের এলাকা ঘুরে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। পুনর্মিলনে হাজির হয়েছিলো বিদ্যালয়ের ১শ ৪৭ জন ১৯৯৫ সালেন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রার পরের পর্ব ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। আরও বক্তব্য দেন কালাই থানা আফিসার ইনর্চাজ মো. সেলিম মালিক, বগুড়া জেলার পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান ও কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মান্নান তালুকদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের (ভারপ্রপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইনলাম বকুল। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলার জজ-কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. বজলুর রশীদ শাহীদ, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নাফছি তালুকদার প্রমুখ।