বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র ছোট ভাই আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, চারিদিকে বারুদের গন্ধ, অস্ত্র তাক করে রেখেছে। আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমাকে মেরে ফেললে আপনারা জানাযা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন। তবে আমি রীতিমত সত্য কথা বলে যাবো। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি এ বাঙালি জাতির জন্য ৩০বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন, ৩বার ফাঁসির কাষ্টে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামীলীগকে ও অপছন্দ করেন সমস্যা নেই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাঁতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো। গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রশাসনের লোকজনের নিকট ফল চেয়েছেন। অতি উৎসাহী প্রশাসনের লোকজন গাছসহ নেত্রীকে দিয়েছেন। এতে নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বেশি উড়তেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয় নাই। আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন, মাদক ও নারী কেলেংকারীর সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতা থাকতে পারবেন না। নেত্রীকে বলব, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করুন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পোষ্টার মাইজদী ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি, জামায়াত আমার পোষ্টার ছিঁড়ে নাই। আমি আবরও বলছি বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকী আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না, আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭বার ওনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বিএনপি পিন্টুর মত দূর্ণীতিবাজ নেতাদের বিচার করেনি, আমার নেত্রী নিজের দলের দূর্ণীতিবাজদের বিচার করে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৯১সালে ক্ষমতায় এসেছে, আ.লীগ ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। মির্জা আরও বলেন, আমাদের নেতা মোঃ শাহাব উদ্দিন দুই পিরিয়ড উপজেলা চেয়ারম্যান, অথচ তিনি সরকারের সম্মানী ভাতা নেননি, সরকারী বাড়িতেও থাকেননি। এ সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকে জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে।
তিনি শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার ২, ৫, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, বসুরহাট পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, আগামী ৩মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। আমাদের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে দেওয়া হয়। ৩মাস পর আমরা গ্যাস না ফেলে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গ্যাস জাতীয় গ্রীডে দেওয়া বন্ধ করে দিব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে। তিনি বলেন, এদেশে সোজা আংগুলে ঘিঁ উঠে না, আঙুল বাঁকা করতে হয়। বসুরহাট পৌরসভার গুরত্বপূর্ণ সড়কে ৬শত স্যোলার বাতি লাগানো হবে। ৬০কোটি টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরে কাজ শুরু হবে। এগুলো সব আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের অবদান।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই যদি কাগজে লেখ নাম, সে নাম মুছে যাবে, পাথরে লেখ নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখ নাম, সে নাম রয়ে যাবে। আগামী ১৬জানুয়ারী পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন এবং আমাকে ভোট দিবেন।