খুলনার পাইকগাছায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় খায়রুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলটি করেছেন ভূক্তভোগী সোনিয়া আক্তার (২১)। পুলিশ খায়রুলকে আটক করেছেন। সে উপজেলার রামনগর গ্রামের সামাদ গাজীর ছেলে। পুলিশ ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রোববার সকালে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে ৭ বছর পূর্বে উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের সামাদ গাজীর মেয়ে (ভিকটিম) উপজেলার কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার সময় খারুলের সাথে পরিচয় হয়। এরপর কলেজে ওঠার পর আসা-যাওয়ার পথে খায়রুল প্রেম নিবেদন করত। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেয়। এ ভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠে। পর্যায়ে ক্রমে খায়রুল বিভিন্ন সময়ে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে জানাগেছে খায়রুল বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ভিকটিম ক'দিন পূর্বে খায়রুলের বাড়ীতে উঠলে সে কৌশল অবলম্বন করেন। অভিযোগ উঠে খায়রুল পরবর্তীতে মটর সাইকেলে করে ভিকটিমকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আপস মিমাংসা না হওয়ায় ভিকটিম শেষ পর্যন্থ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে ৭/৯(১) ২০০০ নারী শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ২০০৩ আইনে খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যার নং-৮। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ আশরাফুল আলম বলেন এ মামলার আসামি খায়রুলকে গ্রেফতার করে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।