কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের খলিলগঞ্জ এলাকা সংলগ্ন কালে গ্রামে দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি অস্বাভাবিক বকনা বাছুর প্রসব করেছে একটি গাভী।
১০জানুয়ারী রোববার সকালে সকালে গাভীটি সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালে গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী শাহেদা বেগমের বকনা বাছুরটি প্রসব করে। এই অস্বাভাবিক বাছুরটি দেখতে শাহেদা বেগমের বাড়িতে আসছেন উৎসুক এলাকাবাসী।
শাহেদা বেগম জানান, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশী ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসুতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গাভীটি গর্ভ ধারন করা হয়। দীর্ঘ আট মাস তেইশ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার ভাঁড়ের কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।
স্থানীয়রা জানায়, বকনা বাছুরটি সকাল থেকে এখন পর্যন্ত দেড় কেজি শাল দুধ খেয়েছে। বকনা বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য সকাল থেকে মানুষজন ভিড় করছে।
জেলা অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন জানান, হরমোনাল ইনব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও প্রজনন গত কারনেও এরকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।