রাজশাহীর চারঘাটের শিশাতলা বাজারে গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই গ্রামের মানুষ। এতে শিবপুর গ্রামের রেজাউল করিম নামে একজন নিহত ও আহত হয় পুলিশসহ ১২ জন।
চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাশ্ববর্তী সুপার ইটভাটা ও দুটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালানো হয়। তবে ৪৮ ঘন্টা পার হলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে।
সংঘর্ষে রেজাউল করিম (৫০) নিহতের ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে পুলিশের উপর হামলা, সরকারী কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অপরাধে আরো ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুঠিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জন আসামীকে আটক করেছে।
এদিকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের দিন ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় চারঘাটের শিশাতলায় অবস্থিত সুপার ইট ভাটায়। ঐ ইট ভাটার অফিসরুম, ট্রাক্টর ও কাঁচা ইট ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে শিশাতলা বাজার সহ আশেপাশের এলাকায়। আসামীদের ধরতে পুলিশি টহল জোরদার রয়েছে। ইট ভাটার মৌসুম চললেও শিশাতলার সুপার ইটভাটা জনশূন্য। ভাটার অফিসের চেয়ার টেবিল, মাটি আনা নেওয়ার ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, ও কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফোনে কথা হয় সুপার ব্রিক ফিল্ড ইট ভাটার মালিক ছইমুদ্দিন আলীর সাথে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর তার ভাটায় অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে কর্মচারীরা ভাঁটা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ভাটার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইটের মৌসুমে ভাঁটা বন্ধ থাকায় ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে। এ ঘটনায় ইট ভাটায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইট ভাটার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে কোনো সম্পদ যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।