দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সদস্য রফিক ফরাজীকে মারধর ও প্রাননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা ১৭ হাজার টাকাসহ একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনের জের ধরে রোববার রাতে জিরো পয়েন্টে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে যুবলীগ অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা দাখিল করা হয়েছে।
হামলার শিকার কুয়াকাটা পৌর যুবলীগ সদস্য রফিক ফরাজী বলেন, রোববার রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে চৌ-রাস্তার মোড়ে মনিরের ফলের দোকানের সামনে আসলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হোসেনপাড়া এলাকার রফিক, হালিম, মতিউর, মনির, আনোয়ার, বায়েজীদসহ ৭/৮জন তার ওপড় হামলে পড়ে। নবনির্বাচিত মেয়রের নির্দেশেই তার উপড় এমন হামলা হয়েছে দাবী করে রফিক আরো বলেন, কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনের রেশ ধরে নবনির্বাচিত মেয়রের স্বজনরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। কুয়াকাটা ছেড়ে চলে যাওয়াসহ প্রাননাশের হুমকী দিয়ে আসছে। ছাত্রলীগ নেতা নুরুজ্জামান ও আব্বাসী হত্যা মামলার আসামিরা চাঁদা দাবীসহ মারধরে অংশ নেয়। এরা সকলেই বিএনপি জাপা কর্মী।
ফল বিক্রেতা মনির অভিযোগ করেন, মারধরের ঘটনার স্বাক্ষী না হতে তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ইসাহাক শেখ জানান, নৌকার সমর্থক জাকির হোসেন, আবু হানিফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ছালাম গাজী, মোশাররফ, পৌর যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামানসহ একাধিক নেতাকর্মিকে মারধর করা হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য পরাজিত মেয়র আ. বারেক মোল্লা বলেন, পৌর নির্বাচনের জের ধরে আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর ও নানাভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, হাইব্রীড ও দলছুট কতিপয় সূবিধাভোগী সন্ত্রাসী নবনির্বাচিত মেয়রের ইন্দনে এসব করছে। বিষয়টি তিনি পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন বলেও জানান।
তার লোকেজন কাউকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবী করেন্ িএটা একটি সাজানো নাটক। সাবে জাপা নেতা নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, তার লোকজন কাউকে মারধর করেনি। এটি সাজানো নাটক। রোববার রাতে জিরো পয়েন্টে পুলিশবক্সে তিনিসহ বিএনপি নেতা শাহজাহান আকন, মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় পুলিশ বক্সের বাইরে রফিক তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিল। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় কুয়াকাটা পুলিশবক্সে অবস্থান করছিলেন। ডাকাডাকি শুনেছেছন। লোকজনের জটলা দেখতে পেয়েছেন। কি হয়েছে জানতে চাইলে জড়ো হওয়া লোকজন যে যার যার মত চলে যায়। মারধর কিংবা চাঁদা দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলছে।