কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর মৌজায় শতবছরের সরকারি প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার সীমানা নির্ধারণ হলেও ৭/৮ জন ভূমিদস্যুর কারণে সম্পূর্ণ দখলমুক্ত হচ্ছে না। খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ মুখে কামদেবপুর গ্রামের ফজলু গাজী এবং উত্তর মুখে একই গ্রামের আনিছুর রহমান গোয়ালঘর ও পাকা দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছেন। রাস্তাটি খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে সরাসরি সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝে পাকা গোয়ালঘর ও প্রাচীর থাকায় শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা ব্যবহার করতে না পারায় বিকল্প পথে হাটেবাজারে যেতে যথেষ্ঠ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে কামদেবপুর ও খাঁরহাটসহ আশেপাশের কয়েক শ’ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। সম্প্রতি ভুক্তভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন রাস্তাটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও এখনও পর্যন্ত সুফল মেলেনি। কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে সোমবার (১১ জানুয়ারী) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন কামদেবপুর গ্রামের মাজেদ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে মো.সিরাজুল ইসলাম (৪৫)।
তিনি আরও বলেন, কয়েকমাস পূর্বে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের নুর আলী গাজীর ছেলে বিসিএস নন-ক্যাডার মো. শফিকুল ইসলাম ভাড়াশিমলা কামদেবপুর মৌজার জে.এল নং-৩৪, সি.এস ও এস.এ- ৪৫, ৪৬ দাগে অবস্থিত প্রায় এক কিলোমিটার সরকারি রাস্তা জনস্বার্থে দখলমুক্ত করে সর্বসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শেখ ইউনুচ চিশতী বিষয়টি তদন্তপূর্বক গত ২ ডিসেম্বর সরকারি ম্যাপ অনুযায়ী সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাপজরিপ করে লাল কালি চিহ্নিত পাকা পিলার দিয়ে নুর আলী গাজীর বাড়ির সামনে থেকে খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সরকারি রাস্তা জনস্বার্থে উন্মুক্ত করেন। এ সময় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নাসিরউদ্দীন, সার্ভেয়ার রাশেদুল আলমসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময়েও রাস্তাটি উন্মুক্ত হয়নি, বরং জবরদখলকারিরা বর্তমানে সেখানে ধানরোপন করেছেন। ফলে রাস্তাটি ব্যবহারে জনসাধারণের প্রতিবন্ধকতা রয়েই গেছে। বর্তমানে ভূমিদস্যু ফজলু গাজী ও আনিসুর রহমান গ্রামীবাসীদের নানাভাবে ভয়ভীতি-হুমকি প্রদর্শন করছেন। জনস্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত রাস্তাটি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য তিনি প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।