বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারনা অফিস ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা অফিস ভাংচুর ও হুমকি প্রদান ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী বাদী হয়ে দুই পক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মঙ্গলবার আদমদীঘি থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় পৌরসভা এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, আগামী ১৬ জানুয়ারী সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু প্রচারণার জন্য বশিপুর গ্রামে নির্বাচনি ক্যাম্প করেন। গত ১০ জানুয়ারী রাত ১০ টায় বিএনপির ধানের শীষ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষের নেতা-কর্মি নৌকা প্রতিকের ওই নির্বাচনে ক্যাম্পে অর্তকিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত নৌকা প্রতিকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে ফেলা হয় বলে মামলায় বলা হয়। এ ঘটনায় বিএনপির নেতা মাহাফুজুল হক টিকনসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু নিজেই বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের ৯ জানুয়ারী ৪ টি নির্বাচনি ক্যাম্প ভাংচুর, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রার্থীসহ নেতা-কর্মিদের হুমকি প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগে মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন নিজেই বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদমদীঘি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বলেন, সান্তাহার পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।