জামালপুরের অপহরণের দশ দিনেও সন্ধান মেলেনি কলেজছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া তানজিয়া (১৫)। অপহরণকারীরা তাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা এবং গুম করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বজনরা।
মামলা বাদীর অভিযোগ পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারণে মামলার প্রধান আসামীসহ অন্যান্য আসামি গ্রেফতার করছেন না। তবে পুলিশ বলছে আসামিরা পালাতক থাকায় অপহৃতাকে উদ্ধার ও মুল আসামি গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
মামলার বাদী অপহৃতার বাবা এখলাছুর রহমান জানান,জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের জোয়ানেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। স্থানীয় দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তানজিনা(১৬)। তানজিনার সাথে জোরপূর্বক প্রেমের সম্পর্ক গড়তে দীর্ঘ দিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন একই ইউনিয়নের গান্দাইল এলাকার সফির উদ্দিনের বখাটে ছেলে সাঈদ হাসান সিয়াম (২০)। প্রেমের সম্পর্ক গড়তে রাজি না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে সিয়াম। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষাণ করায় স্বজনদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন সিয়াম। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বখাটে সিয়ামকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য তার পরিবারকে সতর্কও করেছিলেন।
কিন্তু গত ৩ জানুয়ারি সকালে সিয়াম ও তার লোকজন নিয়ে তানজিয়াকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিতে উঠিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি অপহরণকারী সিয়াম ও তার মা জেসমিন আক্তারসহ ছয়জনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃতা তানজিয়ার বাবা এখলাছুর রহমান তালুকদার। কিন্তু অপহরণের দশ দিনেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি। মামলাটির প্রধান আসামি অপহরণকারী সাঈদ হাসান সিয়ামসহ অন্যান্য আসামিদের এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারা এবং কলেজছাত্রী তানজিয়ার কোন সন্ধান না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তার স্বজনরা। এদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তানজিয়াকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ গুম করে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কায় রয়েছেন তানজিয়ার বাবা এখলাছুর রহমান তালুকদার।
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আলিম বলেন,মামলাটির প্রধান আসামি সিয়ামসহ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার ও অপহৃতা তানজিয়াকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।