নগরীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর পর ২৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীও আছেন। তবে, আটকের বিষয়ে নাম প্রকাশ করে তথ্য দিতে রাজি হননি নগর পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে থাকা সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা যাচাইবাছাই করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে, রাত ৮টার দিকে নগরীর মগপুকুর পাড় এলাকায় পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান। এ ছাড়া মাহবুব নামে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পাঠানটুলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০ সালে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী আবদুল কাদেরের কাছে তিনি পরাজিত হন। আবদুল কাদের দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মৃত আজগর আলী বাবুল ও আহত মাহবুব উভয়ই বাহাদুরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সহিংসতা শুরুর পর আবদুল কাদের ও তার কয়েকজন অনুসারী মগপুকুর পাড়ে তাহের ভবনের দোতলায় আশ্রয় নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ডবলমুরিং থানা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে ভবনটি ঘিরে কাদেরসহ তার অনুসারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেখান থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।