গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গত শুক্রবার ৬ মাস বয়সী শিশু আফিয়া আক্তার মীমকে অ্যাসিডে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের প্রতিবেশি চাচী শামসুন্নাহারকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। আফিয়া আক্তার মীম উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বড়হর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী ইমরানের কন্যা।
নির্যাতনের শিকার মীমের চাচা আরমান জানান, গত শুক্রবার বিকেলে আফিয়া আক্তার মীম তার দাদী ও স্বজনদের সাথে বাড়ির আঙ্গিনায় রোদ পোহাচ্ছিল। এমন সময় প্রতিবেশি মঞ্জুরুলের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪০) সেখানে হাজির হয়। একপর্যায়ে মীমকে আদর করে কোলে নিয়ে পাশের বাড়ি চলে যায় শামসুন্নাহার। কিছুক্ষণ পর মীমের তীব্র চিৎকারে সেখানে ছুটে যায় মীমের স্বজনরা। মীমের কি হয়েছে জানতে চাইলে অসংলগ্ন জবাব দেয় শামসুন্নাহার। এরই মাঝে মীমের শরীর থেকে পোড়া গন্ধ বের হতে থাকে এবং কান ও লজ্জাস্থানসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে যেতে দেখা যায়। এ সময় তার স্বজনরা তাকে দ্রুত পাশ^বর্তী আমরাইদ বাজারে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তার স্বজনরা মীমকে ঢাকার বারডেমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসলেও মীমের ক্ষতস্থান এখনো শুকায়নি। খবর পেয়ে মঙ্গলবার কালীগঞ্জ সার্কেল এএসপি ফারজানা ইয়াসমিন ও কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এএসপি ফারজানা ইয়াসমিন জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন এবং শামসুন্নাহার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।