বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ৪৪ টি মাইক দিয়ে তাঁদের প্রচার চালানো হচ্ছে। এসব মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেড়েছে হার্ট ও কানের রোগীদের।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী, ২৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন করছেন। একজন প্রার্থীর পক্ষে একটি করে মাইকিং করার নিয়ম রয়েছে। প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলে মাইকিং। ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মাইকে প্রচার চলছে।
২০০৪ সালে গঠিত নন্দীগ্রাম পৌরসভার আয়তন মাত্র ১২ দশমিক ০৩ বর্গ কিলোমিটার। নয়টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা ১৮হাজার ৪৯৬ জন। আর ভোটার ১৫ হাজার ৯৭৩ জন। ঠিক ২ টায় প্রার্থীদের সমর্থকেরা মাইকিং প্রচারণার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীদের একই সড়কে অটো রিক্সায় ৬-৭ টি প্রচারণার মাইক চলে। জনসাধারণ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে ওই সময়টুকু দুই হাত দিয়ে কান চেপে ধরতে দেখা গেছে। স্বল্প সংখ্যক এই ভোটারদের জন্য এতগুলো মাইক বরাদ্দ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন সচেতন সমাজ।
এদিকে শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। অতিমাত্রায় শব্দদূষণে হার্ট ও কানের রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ছাড়া মসজিদ, ক্লিনিক, অফিস, ব্যাংক-বিমার দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা জানায়, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন দেড়টার দিকে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক বেঁধে প্রস্তুত করে রাখেন। দুইটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেন মাইকিং। এবার মাইকের জোগান দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। পড়ে থাকা ভাঙাচোরা মাইকগুলো এখন ঠিকঠাক করে কোনোমতে বাজানোর উপযোগী করা হচ্ছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী আবদুল হাকীম বলেন, ‘শহরে একটির পর একটি মাইক আসতেই থাকে। এতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মাইকের যন্ত্রণাদায়ক শব্দের কারণে মুঠোফোনে কথা বলাসহ কাজকর্ম করা যায় না। তাই মাইকিংটাকে আরও সীমিত করে দেয়া উচিত।’
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, নিয়মনীতি মেনেই প্রার্থীরা মাইকিং করছেন। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। তবে কেউ আচারণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।