সারিয়াকান্দি পৌরসভা সাধারণ নিবার্চন ১৬ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে পৌর এলাকায় প্রচার প্রচারণায় সরব হয়ে ওঠেছে। মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটাদের ঘরে-ঘরে যাচ্ছেন। তবে এ প্রচারণায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। বিএনপি’র প্রার্থী প্রচারণায় নেতাকর্মীদের খুব একটা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নিবার্চন অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৪জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে ১৪ হাজার ১৫৮জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্য পুরুষ ৬হাজার ৯৬০জন ও মহিলা ৭হাজার ১৯৮জন ভোটার রয়েছেন। ৯টি কেন্দ্রে ৫০টি বুথে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিবার্চন উপলক্ষে শহরের প্রধান সড়ক ছাড়াও অলি-গলির আনাচে-কানাছে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। এছাড়াও দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকের প্রচারণাতো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আনন্দ মুখোর পরিবেশেই প্রচার প্রবাগান্ডা চলছে সব প্রার্থীদের। যদিও বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এ প্রচার প্রচারণা শেষ হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন মতিউর রহমান মতি। নৌকা প্রতীকে প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলের উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তারা সমান তালে দিন-রাত নৌকা মার্কার ভোট চেয়ে যাচ্ছেন। আচারণ বিধি মেনে নেতাকর্মীরা আনন্দ মুখোর পরিবেশে খন্ড খন্ড মিছিলসহ ভোটারদের মন আর্কৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। মতির সহধর্মীনি লাভলী আকতার একদল মহিলা কর্মী সাথে নিয়ে পৌর এলাকার ভোটাদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন।
অপর দিকে বিএনপি’র প্রার্থী ছাবিনা ইয়াসমিন বেবী (ধানের শীষ) প্রতীক পেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। ১৯৯৯ সালে এ পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর মহিলা প্রার্থী হিসাবে মেয়র পদে প্রথম লড়াই করছেন। এই দিক থেকে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি মহিলা ভোটারদের মন জয় করার জন্য তিনি ভিন্ন রকমের কায়দায় মহিলা ভোটারদের কাছে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হলেও তিনি নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে তেমন একটা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কারণ বিএনপি’র এই প্রার্থী দলের কোন পদ-পদবীতে নাম না থাকলেও কাকতালীয় ভাবে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। ছাবিনা ইয়াসমিন বেবী বুধবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, সহযোগিতা না করলে কি হবে, তাও এখন বলতে হবে সহযোগিতা করছেন।
এরপর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমন (নারকেল গাছ) প্রতীক পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বর্তমান মেয়র ও সাবেক আওয়ামী লীগের বলিষ্ট নেতা হওয়ায় তার একটা নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে। শাহী সুমনসহ এই কর্মীবাহিনী নাওয়া খাওয়া ছেড়ে কনকনে শীত উপেক্ষা করে দিন-রাত ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
অপর সতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর (জগ) প্রতীকে মেয়র পদে লড়াই করার জন্য মাঠে রয়েছেন।
সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন এবার সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মতিউর রহমান মতি, বিএনপি’র প্রার্থী ছাবিনা ইয়াসমিন বেবী, আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর শাহী সুমনের মধ্য মেয়র পদে পৌরসভার নিবার্চনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা নিবার্চনকে ঘিরে মাঠে রয়েছেন।