নীলফামারীর সৈয়দপুরের রাজনীতিতে এক উজ¦ল নক্ষত্রের বিদায় হল। পৌরবাসীকে কাঁদিয়ে বড় অসময়ে পৃথিবী থেকে প্রস্থান করলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার ভজে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না.... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। আগামী ১৬ জানুয়ারী পৌর নির্বাচনে নারিকেল গাছ মার্কা নিয়ে মেয়র পদে ভোট যুদ্ধ করছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নীলফামারী-৪ আসনে (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত ১৯৮৯ সালে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি পরপর চার বার সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচিত হন। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষ জনপ্রিয়তা নিয়েই তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর তিনি কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। আমৃত্যু তিনি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ ১৫ জানুয়ারী তার নিজ গ্রাম পাটোয়ারী পাড়া মকবুল হোসেন কলেজ মাঠে বাদ জুম্মা নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে মরহুমকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, তিন ভাই ও তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হাজী মকসুদ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল ইসলাম, সদস্য আমিরুল হক আরমান, সাবেক সভাপতি সাকির হোসেন বাদল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ করিম মিষ্টার, জিকরুল হক, এম.আর আলম ঝন্টু, আমিরুজ্জামান, নিজু কুমার আগরওয়ালা, হিরা শর্মা, বুলবুল রায় চন্দন, সাদিকুল ইসলাম, আখতারুল ইসলাম মৃধা, আবু বিন আজাদ, এম.এ মোমেন প্রমুখ।