আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী একটি দল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠা দল। দলটিতে সকল পেশাজীবি মানুষের অংগ্রহণ আছে। দলে নেতাকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য কিছু থাকতে পারে। ঢাকার দায়ীত্ব পালনকারী সাবেক ও বর্তমান দুই মেয়রের রাজনৈতীক আদর্শ অভিন্ন। কর্ম সম্পাদনে কোথাও কোথাও মত পার্থক্য আছে। যা প্রকাশ্যে আলোচনা হয়েছে। এতে দলের জন্য অকল্যাণকর কিছু নেই। এটা একটি গণতান্ত্রিক দল। সকলের বলার অধিকার আছে। তাদের মধ্যে যে মত পার্থক্য তৈরী হয়েছে, আমি মনে করি সময়ের ব্যাবধানে তা ঠিক হয়ে যাবে। ওয়াইদুল কাদেরের ভাইও একজন রাজনৈতীক কর্মী। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন। তাদের বক্তব্য দল বিব্রত নয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগরে যে পথ দিয়ে ভারত থেকে এসে জাতীয় চার নেতা সহ জাতীয় নেতৃবিন্দু ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল শফথ গ্রহণ করেছিলেন, সেই রাস্তাটি “স্বাধীনতা সড়ক” নামকরণ করে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে ওই সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের সড়কটি স্বাধীনতা সড়ক হিসাবে রুপলাভ করতে যাচ্ছে। এখান দিয়ে একটি চেক পোস্টও করা হবে। যারা মধ্যমে দু’দেশের মানুষ যাতায়াত করে পারবে। ফলে দু’দেশের মানুষের যাতায়াত ব্যাবস্থার কাজ শেষ হলে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হাসেন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে সবচেয়ে বড় স্থাপনা হবে মুজিবনগরে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজোড়িত ঐতিহাসিক স্থানটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে সকল পরিকল্পনা শেষ হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে মুজিবনগরের সকল কাজ শেষ হবে।
মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনের সময় মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুনসুর আলম খাঁন, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক,পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।