নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলতি শীত মওসুমে ব্রয়লার মুরগির মরক দেখা দিয়েছে। হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে খামারে মুরগি মরে যেতে শুরু করায় এলাকায় খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। রোগ নির্ণয় করতে না পারায় খামারে মুরগির মরক থামছে না। খামারে হাজার হাজার টাকার মুরগি মরে যাওয়ায় পথে বসতে চলেছেন খামারের মালিকরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের গলাইকুড়া গ্রামের খামারি মিজানুর রহমান খোকন জানান, এখনই এই অজানা রোগ নির্ণয় করে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে তা মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। তিনি জানান, ২০০৭ সালে ৩শ য়য়লার মুরগি নিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই সীমিত লাভ দিয়ে ব্যবসা করে আসলেও ধুকে ধুকে চলে আসছিল। আস্তে আস্তে পরিধি বাড়িয়ে বর্তমানে ২ হাজার ব্রয়লার মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি মাসের প্রথম দিকে অজ্ঞাত রোগের হানায় কয়েক দিনে তার ১ হাজার মুরগি মারা যায়। বর্তমানে তার পুঁজি শেষ হয়ে গেছে।
খোকন বলেন, ‘অজানা রোগে খামারের অর্ধেক মুরগি মারা যাওয়ায় আমি সর্বস্বান্ত। এক বছর আগে একবার এ রোগে আমার ও উপজেলার বেশিরভাগ খামারে মুরগি মারা যায়। তখন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তদন্ত করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা মহামারিতেও আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শেষ হয়ে গেছি। আমাদের দাবি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আমাদের এই পোল্ট্রি সেক্টরকে বাঁচান, আমাদেরকে বাঁচান’।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘প্রায় সব মুরগি শেষ করে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল। আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তেমন কোনো রোগ ধরতে পারিনি। তাছাড়া আমাদের কাছে পরীক্ষা করার মত কোনো যন্ত্রপাতিও নেই। তাই খামারিকে জয়পুরহাটে ল্যাবে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ প্র’দান করি।
ঋারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অভিম্যূন্ন চন্দ্রকে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।