জাতীয় সংসদের চলতি বছরের প্রথম অধিবেশন অর্থাৎ শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ অধিবেশন নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা এবং সংসদ ভবন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রোববার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ডিএমপি। ডিএমপি ঘোষিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং হতে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত হতে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত হতে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত। মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় হতে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল হতে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণীর পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত হতে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সব ধরনের রাস্তা ও গলিপথ। ১১তম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবসন শুরু হতে যাচ্ছে। সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। প্রতি বছরের মতো ওই দিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে ভাষণ দেবেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবারের অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। অধিবেশনটি মাত্র ১০ থেকে ১২ কার্যদিবস চলতে পারে। এই অধিবেশনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশ নেবেন। তবে প্রথম দিন যেহেতু রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন এজন্য প্রথম দিন সব সংসদ সদস্যরা (এমপি) অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন। এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে আনা প্রস্তাবের ওপরের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এই সময় প্রতিদিন ৭০/৮০ জনের উপস্থিতির টার্গেট নিয়ে সর্বোচ্চ ৯০ জন সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন দীর্ঘ হয়। বছরের প্রথম এই অধিবেশন ৩০ থেকে ৩৫ কার্যদিবস চলে। কিন্তু করেনা পরিস্থিতির কারণে এবারের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস চলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যারা করোনা পজিটিভ হবেন তারা অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী লিটন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস অধিবেশন চালানো হতে পারে। অধিবেশন শুরুর আগে এবারও সংসদ সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করানোর হবে। প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এ কারণে ওই দিন সবাই অংশ নিতে পারবেন। এরপর থাকবে প্রতিদিন ৭০/৮০ জনের উপস্থিতি।