রাজধানীর কাকরাইলে তিন বছর আগে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ৩জনের মধ্যে নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিমসহ তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই জনি।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘এই মামলায় তিন আসামি জেলহাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে।
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে মা শামসুন্নাহার ও ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আবদুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আবদুল করিম ও শারমীন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা-রসুন-পেঁয়াজের আমদানিকারক।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। গত বছর ৩১ জানুয়ারি তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।