বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর এলাকায় ছোট্ট এক ফসলের মাঠে এক কিলোমিটার বৃত্তাকারের মধ্যে রয়েছে তিন ইটভাটা। দীর্ঘ দিন ধরে তিন ফসলের জমিতে ইটভাটা নির্মান, উৎপাদন এবং বাজারজাত করে আসলেও পৌর কর্তৃপক্ষ, কৃষি বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছেন অন্ধের ভুমিকায়। সর্ব শেষ ২৮ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত মেইন সড়কের সাথে থাকা এই তিন ইটভাটা টপকে ৪ কিলোমিটার দুরে গিয়ে দু’টি অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনা করে ভাংচুর ও আর্থিক জরিমানা করে এবং এই পথে ফেরে। কিন্তু এই তিন ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনা না করার কারনটা কি সেটা নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দেশে প্রচলিত আইন মোতাবেক তিন ফসলি জমিতে এবং পৌর এলাকার মধ্যে ইটভাটা নির্মানের কোন অনুমোদন দেওয়া হয় না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, পৌর কর্তৃপক্ষ, কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নাকের ডগায় ইটভাটা ব্যবসায়ীরা সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর এলাকার ছোট্ট এক মাঠের তিন ফসলি জমিতে এক কিলোমিটার বৃত্তাকারের মধ্যে নির্মান করেছেন তিন ইটভাটা। বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ দুষন এবং কৃষি জমি কমিয়ে বীরদর্পে ইট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ভাঁটা মালিকের আর্থিক দন্ড করলেও রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ এবং বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। সরেজমিন দেখা গেছে, ওই ছোট্ট একটি মাঠে পাশাপাশি রয়েছে ৩ ইটভাটা। এর একটি থেকে অপরটি দুরত্ব খুব বেশী হলে ৩ থেকে ৫শ’ মিটার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, এই মাঠের জমিতে আমন, ইরি-বোরো এবং রবি শস্যের আবাদ করা হয়। এমন জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিভাগ কি ভাবে ইটভাটা নির্মানের অনুমোদন দিয়েছেন তা আমরা ভেবে অবাক হই। তারা আরোও বলেন, কিছু দিন আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এসে ভাঁটা মালিকদের জরিমানা করে যান। কিন্তু ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের। কারণ ইটভাটার মালিকরা জরিমানার টাকা জনগনের নিকট থেকে আদায় করে নেয় ইটের দাম বাড়িয়ে দিয়ে।