প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের পাবদামারী চুড়ইল বিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।সোমবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়স্থ রামদাস ব্রীজের নিজে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পাবদামারী চুড়ইল বিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কমিটি সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আলিনগর ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের পাবদামারী বিলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কারের অনিয়ম ও দূর্ণীতির যে সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান। তিনি প্রকৃত ঘটনা সম্বন্ধে জানান,৮ কিলোমিটার জুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ২০১৭ সালে কিছু অংশ ভেঙ্গে গেলে আলিনগর ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পরবর্তীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটি সে বছর বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেই। বর্তমানে বাঁধটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন) প্রকল্পের আওতায় ৭৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৫’শ ৮৮ টাকা বাজেট নির্ধারিত করে।পরে বাঁধ কমিটি দু’ইউপি চেয়ারম্যান,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, কৃষক,বাঁধ কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক সাধারণ সভায় বাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে,কাজের সিডিউল অনুযায়ী বাঁধের আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে মাটি কাটা হয়েছে এবং ৩০% জনবল দিয়ে কাজ না করে সবটাই মেশিন দিয়ে কাজ করে মুজুরী বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি জানান, সিডিউল অনুযায়ী বাঁধের আড়াই মিটার বা প্রায় ৮ ফুট দুরত্ব থেকেই মাটি তুলা হচ্ছে এবং ৭০% মেশিন ও ৩০% জনবল দিয়ে এ কাজটি হচ্ছে। যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সরাসরি তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে অনিয়ম বা দুর্ণীতির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া বাঁধটি নিধারিত সময়ে সংস্কার করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাইরুল ইসলাম,আলিনগর ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম,বাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাদরুল ইসলাম,বাঁধ কমিটির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হক সাপাটু, সদস্য আবদুল লতিফসহ বাঁধ কমিটির সদস্যরা।