রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইটভাটা ও পুকুর খননের অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ও পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, সড়কের অবকাঠামো না জেনে অবৈধ গাড়ির ইচ্ছেমতো মাটি ইট পরিবহণ করছে। যার কারণে সংস্কার বা নির্মাণ করার শেষ না হতে সড়কগুলো পূর্বের ন্যায় ভাঙাচুড়া আকার ধারণ করছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৫শ’ ২৪.৭৩ কিলোমিটার সড়কপথ রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়কের পরিমাণ প্রায় ২শ’ ৫০ কিলোমিটার। আর পৌরসভা এলাকার মোট সড়কপথ রয়েছে ৮৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর গুলোর অভিযোগ, উপজেলায় মোট ১৪টি স্থানে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। তারপর, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন ¯থানে একাধিক নতুন করে পুকুর খননের কাজ চলছে। ইটভাটা এবং পুকুর খননকারীদের পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ২শ’ ট্রাক্টর-ট্রলি চলাচল করছে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মে-জুন পর্যন্ত এই অবৈধ যানবাহনগুলো বেশি চলাচল করতে দেখা যায়। অবৈধ বাহনগুলো সার্বক্ষনিক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কসহ স্থানীয় গ্রামীণ সড়কগুলোতে মাত্রারিক্ত ইট মাটি পরিবহন করছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত সড়কগুলো সাধারণ মানুষদের চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, পুকুর ও ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টর-ট্রলির কারণে পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন সড়কগুলি বেহালদশায় পরিনত হয়েছে। যা পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত আশেপাশের সড়কগুলো দেখলে সহজে বুঝো যায়। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সঙ্গে সমঝতা করে ইটভাটা এবং পুকুর খননকারীরা অবৈধ যানবাহনগুলি চালাচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাক্টর-ট্রলির সড়কে মাটি ফেলে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে উপজেলা প্রশাসন সড়কে মাটি ফেলার জন্য জরিমানা কিংবা ছোটখাটো সাজা দিলে ট্রাক্টর-ট্রলির মালিকরা সড়কে মাটি ফেলার সাহস পেত না। শুধুমাত্র উপজেলা প্রশাসনে গাফিলতির কারণে সড়কে মাটি ফেলা হচ্ছে। তাই সড়ক নির্মাণ শেষ না হতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙাচুড়া এবং বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিটি পাকা সড়ক প্রকার ভেদে তৈরি করা হয়। সড়কগুলো নির্মাণের সময় তার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। গ্রামের কিছু পাকা সড়ক আছে সেগুলো সাধারণত ৫-৭ টন ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ইটভাটা মালিকরা ওই নিয়ম মানছেন না। তারা সড়ক গুলোতে মাত্রারিক্ত ইট মাটি বোঝাই করে ট্রলি-ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করচ্ছে। ্এতে খুব তাড়াতাড়ি সড়ক গুলোর অবকাঠামো ভেঙ্গে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, গ্রামীন সড়কে বেপরোয়া ওই যানবাহন গুলোর বিষয়ে অচিরেই অভিযান চালানো হবে। মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহনের