সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী মৌজায় খেয়াল খুশি মতো মনগড়া ভাবে আরএস খতিয়ান প্রস্তুত করায় জমি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চরের সহস্রাধিক কৃষক। জমিজমা হারিয়ে এসব কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আরএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ওই মৌজার আরএস ৭/৮/৩৩/৫৫/৬২/৬৭/৭৯/৮১ সহ ৪টি শীটের প্রায় শতাধিক খতিয়ানের আর এস নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব খতিয়ানে জমির প্রকৃত মালিকদেরকে অন্তভূক্ত না করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা মনগড়া ভাবে হুরমুজ আলী কোথাও হুরমুজ আলী মন্ডল কোথাও হুরমুজ আলী হাওলাদার, হুরমুজ আলী শাহ নামে অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই হুরমুজ আলী নামের ব্যক্তি ওই সব মৌজার কোনো গ্রামে নেই এবং অতীতেও ছিল না। আসলে রেকর্ডের সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে এধরনের মনগড়া ভাবে রেকর্ড করেছেন। এ কারণে সংশ্লিষ্ট জমির প্রকৃত মালিকরা জমি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চাষাবাদ করে এসব জমির মালিকরা জীবন-জিবীকা নির্বাহ করে থাকেন। জমি না পেয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাদের সংসারে এখন মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এছাড়াও চালুয়াবাড়ী মৌজার খন্ড ম্যাপ বা শীট ভূল ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এব্যাপারেও শীট গুলি সংশোধনের জন্য স্থানীয় জনসাধারনের পক্ষ থেকে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর মহা পরিচালক বরাবর আরেকটি আবেদন করা হয়েছে। এসব বঞ্চিত মানুষ গরিব, অসহায় হওয়ায় তাদের পক্ষে আদালতে মামলা মোকার্দ্দমা করে ফয়সালা করা অসম্ভব হওয়ায় আদালতে যেতে তারা ভয় পাচ্ছেন। ২ সহস্রাধিক ব্যক্তির পক্ষে আবেদন করা একজন আকবর আলী বলেন, আমরা ওই মনগড়া ভাবে প্রস্তুত করা খতিয়ান গুলি বাতিল সিএস ও এমআরআর বা দিয়ারা ম্যাপ অনুসারে প্রস্তুত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। আকবর আলী আরো বলেন, তা করা না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ পথে বসতে হবে।