জামালপুরের ইসলামপুর চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মানের দাবীতে ১৯জানুয়ারী/২১ মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা জানায় প্রতি বৎসর বর্ষাকালে বন্যার পানির ¯্রােতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যমুনার ভাঙ্গন রোধে নির্মিত সাড়ে ৪শত কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিংয়ের বিভিন্ন স্থানে ধ্বসে যায়। ফলে এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইজন্য যমুনার বামতীরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করা হলে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে। তেমনি দুর্ভোগ কমবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের।
মানবন্ধনে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে অবিলম্বে যমুনার বামতীর গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবী,যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের স্থায়ী বাঁধ না থাকায় যমুনার ফুঁসে উঠা পানি পাইলিং এর ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। সে সময় পানির ¯্রােতে নির্মিত যমুনার সংরক্ষণ বাঁধের বিভিন্ন স্পটে সিসি ব্লক ধ্বসে পড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় যমুনা পানি প্রবল ¯্রােতে উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ডসহ ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ছাড়া যমুনার পানির প্রবল ¯্রােতে ফসলি জমিতে বালি পড়ে নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সারা বছর মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালামসহ বক্তারা বলেন, এই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ,কাম রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলী জমিসহ বাড়ি-ঘর, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট রক্ষা পাবে, তেমনি বন্যার সময় বন্যাত্ব অসহায় মানুষরা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি হাজার হাজার একর জমিতে ফসল উৎপাদিত হবে, রক্ষা পাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।