হাতীবান্ধায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্স মাঠে তাদের নামাজে জানাজা ও গার্ড অফ অনার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে হাতীবান্ধা উপজেলার খানের বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া এলাকার মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে এসআই আবদুল মতিন ও রংপুর গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকার মৃত মাহমুদুর রহমানের ছেলে কনস্টেবল মুজিবুল আলম ওরফে হাজী (৪৮)।
দুজনই হাতীবান্ধা থানার পুলিশের ডিএসবি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
জেলা পুলিশ জানায়, লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক হয়ে বড়খাতা থেকে দায়িত্ব পালন শেষে হাতীবান্ধা থানার দিকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন পুলিশ সদস্য আবদুল মতিন ও মুজিবুল আলম। এ সময় খানের বাজারে পৌঁছালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গেলে ট্রাকটির ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি ট্রাকের চাকার নিচে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ সদস্য মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুর বাদী হয়ে পলাতক চালকের পরিচয় শনাক্ত করে ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাইন্স মাঠে মৃত পুলিশ সদস্যদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে জেলা পুলিশ। নামাজে জানাজায় নিহতদের পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষজন অংশগ্রহণ করেন।
তাদের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানাসহ সহকর্মীরা। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
যাবতীয় কর্মসুচির পর জেলা পুলিশের বিশেষ দুইটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।