নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রাম্য সালিশে বাদীকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গ্রামের বিচার বৈঠকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে মারপিটে আহত করে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন তিনি।
ধামইরহাট থানার অভিযোগ সূত্রে জাানা যায়, জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে উমার ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নুরনবী চঞ্চল (৩৬) এর সাথে ছোট চকগোপাল (খয়েরবাড়ী) গ্রামের কৃষক মোসাদ্দত হোসেনের ছেলে নুর ইসলামের বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারী একটি বৈঠক বসান ইউপি সদস্য নুরনবী চঞ্চল। বৈঠকে ইউপি সদস্য গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনাকালে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর ইসলামকে এলোপাতারিভাবে মারপিট করে, একপর্যায়ে ইউপি সদস্য নুরনবী চঞ্চল ভুক্তভোগী নুর ইসলামের মুখে স্বজোরে ঘুষি মারে। এতে নুর ইসলামের মুখের ৩টি দাঁত পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরনবী চঞ্চল বলেন, আতি তার কলার ধরে শাষিয়েছি, তবে দাঁত ভাঙ্গিনায়, আগেই থেকে তার দাঁত ভাঙ্গা ছিল, পরে নুর ইসলামকে চিকিৎসার জন্য এ বিষয়ে গন্যমান্যদের পরামর্শে ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছি।’
নুর ইসলামের দাঁত ভাঙ্গার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি, বাদী চাইলে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান জানান, ‘বিচার বৈঠকে ইউপি সদস্য কর্তৃক বাদীকে মারপিট ন্যাক্কারজনক ঘটনা, ইতিপূর্বেও ইউপি সদস্য নুরনবী চঞ্চল জনগনের দ্বারা একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়ে আমার ইউনিয়নের মান ক্ষুন্নকরেছে, আমি আইনের সঠিক প্রয়োগ চাই।’
ধামইরগাট থানার ওসি বলেন,‘ তদন্ত চলমান, বাদী আপোশের চেষ্টার কথা শুনেছি, তবে বাদীর এজাহার সাপেক্ষেই মামলা রেকর্ড করা হবে।’
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনপতি রায় বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বিচার বৈঠকে বিবাদীর বিচার না করে দাঁত ভেঙ্গে গর্হিত অপরাধ করেছেন, যা কাম্য নয়।