বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবং বিএনপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার অভিযোগে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জার্জিস আলম রতন এবং সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুল আলম রবিন কে দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করে জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ওই সভা থেকে অভিযুক্ত দুই জনের দলীয় সদস্য পদসহ সাধারন সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও সাধারন সম্পাদক অ্যাড. কুদরত ই এলাহী কাজলের স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রেস বিঞ্জপ্তি গণমাধ্যেম কর্মিদের নিকট সরবরাহ করা হয়। গত ১৬ জানুয়ারী ২য় ধাপে সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর নিকট ৩৮৬ ভোটে ব্যবধানে পরাজিত হন। জার্জিস আলম রতন নির্বাচনে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। জার্জিস আলম রতনের নিজস্ব কেন্দ্র মালশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রায় ছয়’শ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জার্জিস আলম রতনের বিরুদ্ধে বিএনপি দলীয় জয়ী মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর সাথে আতাঁত করার অভিযোগ করে আসছিল। বহিস্কারের বিষয়ে মুঠোফোনে জার্জিস আলম রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ওপর অন্যায় করা হয়েছে। আমি নিজের জন্য নির্বাচন করেছি, কারো পক্ষে নির্বাচন করার কোন প্রমান নেই। আমাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আমাকে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান করা হয়নি।