কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্বামীর নির্যাতন আর ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তাছলিমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধু মধুয়ারচর এলাকায় আজ সকাল ৮টাশ ঢাকা গামী এগারো সিন্ধুরআএক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়ার পর পরই ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মহিলার দেহ খন্ড বিখন্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব রেলত্তয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সে কুলিয়ারচরের নাসিরাকান্দি গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
নিহত গৃহবধুর ছোট বোন মাহমুদা বেগম জানান, ১১ বছর পূর্বে সবুজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় তাসলিমার তাদের বিবাহিত জীবনে একমেয়ে ওএকছেলে সন্তানের জমক জননী।বিবাহের পর থেকেই সংসারে সুখ ছিলনা সংসারে।রিক্সা চালক স্বামী প্রায়ই করণে অকারণে মারধর করতো তাসলিমা কে। এ ছাড়া সবুজ মিয়া ডুবে ছিলো ছণের জালে। পাত্তনাদার বাড়ী এসে সবুজ কে পেতনা।এতে তাসলিমা পাত্তনাধারদের অসাধাচরণের স্বীকার হতো। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই নির্যাতনের স্বীকার হতো সে।বুধবার বিকেলে মহিলার বাবার বাড়ী থেকে স্বামীর এক আত্বীয়া জনৈক এক মহিলা তাকে স্বামীর বাড়ি নিয়ে আসার পর দিন সকালেই ট্রেন লাইনে পাত্তয়া গেল তাসলিমার ক্ষত বিক্ষত লাশ।প্রাথমিক দৃষ্টিতে আত্ব হত্যা বলে মনে হলেত্ত বিষয় টি ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ভৈরব রেলত্তয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ফেরদৌস আহম্মদ বিশ্বাস বলেন ,আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোর গঞ্জের সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তির পর ই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।আপাতত পুলিশবাদী হয়ে রেলত্তয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক সহিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে তাছলিমা বেগম নামের গৃহবধুর ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।