বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবং বিএনপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার অভিযোগে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জার্জিস আলম রতন এবং তাঁর ভাই সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুল আলম রবিনকে দল থেকে অব্যহতি দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নব নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জার্জিস আলম রতন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি দলীয় কিছু নেতা-কর্মিদের নিয়ে সান্তাহার প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে জার্জিস আলম রতন বলেন, তিনি সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন কিন্তু দল তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে আশরাফুল ইসলাম মন্টুকে মনোনয়ন দেন। পরে তিনি আট নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। তিনি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। গত ২০জানুয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগে অসম্পূর্ন কমিটির এক সভায় তাঁকে ও তার ভাইকে দল থেকে অব্যহতি দিয়ে স্থায়ী ভাবে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করে জেলা ও কেন্দ্রে পত্র পাঠায়। জার্জিস আলম রতন বলেন, আমাকেসহ ও আমার ভাইয়ের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। আমি নিজের জন্য নির্বাচন করেছি, কারো পক্ষে বা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করার কোন প্রমান নেই। আমাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আমাকে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান করা হয়নি। ভোটের তিন দিন আগে কিছু উশৃঙ্খল যুবক নারী ভোটারদের গালিগালাজ করে এ কারণে নৌকার বিপক্ষে জনমত গেছে। তিনি বিষয়টি তদন্তের আহবান জানিয়ে এবং সুবিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।