৫ম ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ০২ ফেব্রুয়ারি। এ পর্যন্ত যেন তর সইছে না সম্ভাব্য প্রার্থী, প্রার্থীর অনুসারী ও ভোটারদের।
চায়ের স্টল থেকে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ সবখানে আলোচনা-বিচার বিশ্লেষণ একটাই- কে হচ্ছেন প্রার্থী? তবে বিএনপি কিংবা জামায়াত নয়! নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ। কারণ বিএনপির দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন তোড়জোড় নেই তাদের।
আওয়ামী লীগ থেকে এবার মনোনয়ন চাইছেন চারজন। তারা হলেন- সাবেক মেয়র নার্গিস খাতুন, পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আল-মামুন তুষার।
বিএনপির দুই সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন- পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল ও শ্রমিকদল নেতা তরুণ নেতৃত্ব আদিল।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছে সাবেক মেয়র ও গতবারের পরাজিত নৌকার পার্থী নার্গিস খাতুন কী আবারও মনোনয়ন পাচ্ছেন, নাকি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে নার্গিস খাতুনের নাম না যাওয়া, গত নির্বাচনে পরাজয়ের পর লম্বা সময় তৃণমূলের রাজনীতিতে অনুপস্থিত থাকা ও করোনাকালীন সময়ে একরামুল হক, কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন, আল-মামুন তুষার পৌরবাসীর পাশে থাকায় নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে।
সব মিলিয়ে চায়ের দোকান, বাজার-ঘাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানে একটাই আলোচনা- কে কেমন? কার জনপ্রিয়তা বেশি? কাকে মনোনয়ন দিলে ভালো হবে? কে মনোনয়ন পেতে পারে?
তবে শেষ পর্যন্ত নৌকার টিকিট আনছেন কে- তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রের ঘোষণা পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত টিকিট যেই আনুক নৌকার হয়ে কাজ করার কথা বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারাও তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে জোর লবিং করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল থেকে তিনজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে সাবেক মেয়র নার্গিস খাতুনের নাম পাঠানো হয়নি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২ ফেব্রুয়ারি, বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি। ভোট হবে ইভিএম-এ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।