বাগেরহাটের চিতলমারীতে আদালতের বিচারাধীন একটি জমিতে দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার সন্তোষ পুর গ্রামের মৃত: বীরেন্দ্রনাথ মধুর তিন কন্যা। তারা জানায়, তাদের একটি বিচারাধীন জমিতে কচুয়ার বিশার খোলা গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে অনুপ কুমার বিশ্বাস নামের এক কলেজ শিক্ষক গায়ের জোরে কাটকুঠি দিয়ে দোকান নির্মান করছেন।
শুক্রবার দুপুরে দেখা যায় সন্তোষ পুর ভুমি অফিসের পাশে ১০/১৫জন লোক তাড়া হুড়া করে একটি কাঠের ঘর তৈরি করছে। এ সময় বীরেন্দ্রনাথ মধুর তিন কন্যা কল্পনা,রিনা ও সুবর্ণা চিৎকার করে তাদের জমিতে ঘর বাঁধতে নিষেধ করলে আনুপ কুমার বিশ্বাসের শ্যালক অপুর্ব মজুমদার তাদের উপর চড়াও হয়।
বীরেন্দ্রনাথ মধুর কন্যা কল্পনা মধু জানায়, তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশি কল্যাণ মন্ডল জমি দখল করে ১০ বছর আগে একবার জেল খেটেছে। এখন শিক্ষক আশীষ বিশ্বাস রাস্তার পাশে একটি জমি জবর দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছে। যে জমি নিয়ে এখনও আদালতে মামলা রয়েছে।
অনুপ বিশ্বাস জানায়, ১০ বছর আগে আশীষ,অশোক ও সুশান্ত বিশ্বাসের কাছ থেকে নগত টাকায় ০৯ শতক জমি ক্রয় করি।পরে ওই জমি নিয়ে বীরেন্দ্রনাথ মধু আদালতে একটি আমানত মামলা করে।যাহা গত ৩১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে আমার পক্ষে রায় আসে। এখন আমার জমিতে আমি দোকান ঘর তৈরি করছি। তবে বীরেন্দ্রনাথ মধুর আরেক কন্যা রিনা মধু জানায়, রায়ের পর ওই মামলা নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।