মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া জমি ও ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা রাজবাড়ীর উপকারভোগীরা। জমি ও ঘরের দলিলপত্রাদি বন্টনের এক প্রতিক্রিয়ায় উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরে।
শনিবার সকালে সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের জমি ও গৃহহীন ঘর প্রদানের উদ্বোধন করেন। পড়ে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় সাংসদ, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলার ১২০টি পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর বুঝিয়ে দেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা নাছরিন আক্তার, স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আবদুল জব্বার, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, আলীপুর ইউপি চেয়ারমান মোঃ শওকত হাসান প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মোঃ সায়েফ।
এ সময় একাধিক উপকারভোগী জানান, তাদের কোন জায়গা জমি ছিল না। অন্যের জমিতে কোন রকম বসবাস করতেন। আজ নিজের নামে জমি ও ঘর পেয়ে তারা খুব আনন্দিত। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জমি ও ঘর দিয়েছেন। যা কোন দিন ভুলবার না। জমির দলিল ও মিউটিশনের জন্য ২১শ করে টাকা দিয়েছেন।
আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হাসান জানান, সদর উপজেলায় ১২০টি ঘর বরাদ্ধ হয়েছে। যার সব গুলো তার ইউনিয়নে। জমি ও ঘর বাবাদ কোন টাকা নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর তার ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পাওয়ায় স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, আজ ইতিহাসের স্বাক্ষী তিনি। পৃথিবীর অনেক বড় বড় সর্মদ্ধ দেশ আছে, যারা এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে নাই। একদিনে ৬৬ হাজারের বেশি পরিবার জমি ও ঘর পাচ্ছে। জাতির জনকের স্বপ্ন পুরনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমিপ কাজী কেরামত আলী জানান, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতার কারণে এ কাজ করা সম্ভব হয়েছে। বিগত দিনের সরকার কখনও এ ধরনের প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করতে পারেন নাই। কিন্তু তার সরকার করছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে এবং আশা করছেন দ্রুত দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজ সরকার শুরু করবে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলায় ১২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ৭৬০ জন গৃহহীনের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে সদরে ১২০টি, পাংশায় ১০০টি, কালুখালীতে ৪০টি, বালিয়াকান্দিতে ৭০টি ও গোয়ালন্দে ৪৩০টি। ইতোমধ্যে ৬৩১টি ঘর নির্মান সম্পন্ন হয়েছে এবং বাঁকী ঘর দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।