বাগেহাটের শরনখোলায় মো.সাইফুল মোল্লা (৩৫) নামের এক ব্যক্তির দুই চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা করেছে দূর্বৃত্তরা। রোববার (২৪ জানুয়ারী)সকালে শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠের পাড় এলাকা থেকে রক্তাত্ত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পার্শ্ববর্তী এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার। আহত সাইফুলের দাবি কোন অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু ক্ষমতা পেয়ে এসব অত্যাচার করা কোন মানুষের কাজ নয়।
আহত সাইফুল মোল্লা শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে।
পার্শ্ববর্তী এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার আহত সাইফুল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই মঠের পাড় এলাকায় একটি মাঠে রক্তাত্ত অবস্থায় সাইফুলের দেহ পরে আছে। আমি উদ্ধার করে শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েছি।এর থেকে বেশিকিছু আমরা জানিনা।
রাজৈর এলাকার ইউপি সদস্য রহিম হাওলাদার বলেন, সাইফুল মোল্লা এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করত। সাইফুলের খারাপ কাজে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী ওর উপর হামলা করেছে আমি এর থেকে বেশি জানিনা।
স্থানীয় চকিদার আসলাম বলেন, সাইফুলের দুই ভাই তারা চট্টগ্রাম থাকে। বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। তাদের খুজে পাচ্ছি না।
চিকিৎসাধীন সাইফুল মোল্লা বলেন, আমি যদি কোন অপরাধ করি, তার বিচারের জন্য আইন ছিল। তারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পেয়ে যা খুশি তাই করবে। এটা কোন আইনে বিচার করবে। ইউনুস, আবুল ও রমজানসহ অনেকেই আমার উপর এই হামলা করেছে।
শরণখোলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ এসএম ফয়সাল আহমদ বলেন, সাইফুলের দুই চোখে রক্তাত্ত জখম রয়েছে।বাম পা ভেঙ্গে গেছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেছি।
শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, চোখ উপরে ফেলার বিষয়টি জেনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। সাইফুল শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তার বাবা বা পরিবারের কেউকে পাওয়া যাচ্ছে না।এ ঘটনায় কেউ কাউকে অভিযোগ দেয়নি।তবে কে বা কারা এধরনের কাজ করেছে আমরা খুজে বের করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, সাইফুল ইসলামের সম্পর্কে এলাকার মানুষের একটি খারাপ ধারণা রয়েছে। তার নামে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আমরা ২০ বারের অধিক সময়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি।