ময়মনসিংহে বাংলাদেশ প্রথামিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে টাইমস্কেল, পি আর এল জৈষ্ঠ্যতা বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রোববার সকালে ওই কর্মসূচি পালন করে জেলার জাতীয়করণকৃত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যেম প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মাকলিপি প্রদান করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত ১২ আগষ্টের জারি হওয়া পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক টাইমস্কেল, পি আর এল জৈষ্ঠ্যতা ও পদোন্নতি বহাল রাখার দাবীতে কর্মসূচিটি পালন হয়।
শিক্ষকরা জানান, আকস্মিকভাবে বিধিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রশাসন গত ১২ আগষ্ট এক পত্রে শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাতিল করে। সেই সাথে ৮ বছর পূর্ব থেকে গৃহিত অর্থ ফেরত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষক তাদের পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে জাতীয়করণ শিক্ষকগণ চাকুরী জীবনের শেষ প্রান্তে এসে টাইমস্কেল পি.আর এল জৈষ্ঠ্যতা ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হবে।
শিক্ষকদের দাবি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক অধিগ্রহণকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ২ উপবিধি (গ) তে বর্ণিত বেসরকারী চাকুরীর ৫০ ভাগ কার্যকর চাকুরীকালের ভিত্তিতে টাইমস্কেল সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বহাল রাখতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ নভেম্বরের পত্রটিতে শিক্ষকগণ জৈষ্ঠ্যতা পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ২ উপবিধি (গ) তে বর্ণিত ৫০ ভাগ কার্যকর চাকুরী কালের ভিত্তিতে জৈষ্ঠ্যতা, পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণকে সরকারিভাবে গেজেটভূক্ত করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলার আহ্বায়ক আবু আহাম্মদ আলী ছাইফুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. নবী হোসেন, সদস্য মো. শামসুল হক, আ. লাইল বাক্কী, সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।