কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলের অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক আলীর(সাগর) পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে শয্যাশায়ী। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এ সংবাদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছালে চিকিৎসার জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহিবল থেকে নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।
শনিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে আকস্মিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ-জান্নাত রুমি দুর্গম চর অতিক্রম করে অসুস্থ সাবেক এ সভাপতির বাড়িতে গিয়ে নগদ ১ লাখ টাকা, শীতবস্ত্র ও আনুষঙ্গিক উপহার সামগ্রি তার হাতে তুলে দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম ডেপুটি কালেক্টরের নেজারত শাখার হাসিবুল হাসান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আবদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী তার জন্য টাকা পাঠিয়েছে, এ খবর জেনে অসুস্থ সাগর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সাগর সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী যে দুর্গম এলাকার একজন কর্মীরও খবর রাখেন, আজ তার প্রমাণ আমি পেলাম। তিনি আমাদের মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক আলী (সাগর) (৬৩) উপর্র্যোপরি নদীভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ফলে প্যারালাইস্ট জনিত রোগে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থের অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় সংসারের ৯ ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করেন। বর্তমানে তিনি শ্বশুর বাড়িতে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন।
সাগর আরো জানান, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যেদিন কুড়িগ্রামে আসেন তাঁর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার টানে এক নজর দেখার জন্য দূর্গম চরাঞ্চল থেকে ছুটে গিয়েছিলাম। ২০১২-২০১৯ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ক্ষুদিরকুটি আক্কেল মামুদ ব্যাপারীপাড়া গ্রামের আবদুল শেখের পুত্র।