রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার শাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামে রাশেদুল শেখ নামের এক যুবককে গ্রাম্য শালিসে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগে শাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আলী ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে কালুখালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারী রাতে নির্যাতনের শিকার রাশেদুল শেখের পিতা ইমান আলী শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ২৪ জানুয়ারী বিকালে চরপাতুরিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আলী’র নেতৃত্বে একটি গ্রাম্য শালীসের আয়োজন করা হয়। শালীসে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ১শত জুতার বাড়ী দেওয়া হয় সেই সাথে করা হয় জরিমানা। ওই যুবকের পুরষাঙ্গে ২টি ইট বেধে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পরে ওই যুবকের পুরুষাঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হলে ওই যুবকের নিজ বাড়ীতে আটকে রাখা হয়। সেই সাথে দেওয়া হয় পাহারা যাতে করে ওই যুবকে চিকিৎসা দিতে বাইরে না যেতে পারে। একপর্যায় ওই যুবককে হুমকি দেওয়া হয় যাতে করে বিষয়টি পুলিশকে না জানানো হয়।
এদিকে ওই ঘটনাটি জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পেরে কালুখালী থানা পুলিশ নির্যাতিত ওই যুবককে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
কালুখালী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন এটা একটি অমানবিক ঘটনা আমরা জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং মামলার প্রেক্ষিতে শাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী ও অপর এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।