ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে রাখা হয়েছে। সোমবার বেক্সিমকোর সাতটি বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ড ভ্যানে করে দুপুর ১টার দিকে ভ্যাকসিনগুলো পৌছায় টঙ্গীর বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে (গুদাম)।
বেক্সিমকোর ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা জানান, বিমানবন্দর থেকে ৫০ লাখ ডোজ ৭টি গাড়িতে করে আনা হয়েছে। নতুন দুটি ওয়্যারহাউজ করা হয়েছে।
ওয়্যারহাউজ-১ এ ৬০লাখ ডোজ এবং ওয়্যারহাউজ-২ তে ৮০লাখ ডোজ রাখার সক্ষমতা রয়েছে। আগে থেকেও একটি ওয়্যারহাউজ ছিলো, যদি দরকার হয় তাহলে সেখানেও রাখা যাবে। আমাদের ওয়্যারহাউজগুলোতে ১ কোটি ৫০লাখ ডোজ সংরক্ষণ করা যাবে।
তিনি আরও জানান, ৫০ লাখ ডোজ তিনটি ব্যাচ থেকে এসেছে। এই তিনটি ব্যাচের স্যাম্পল ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটিতে পাঠানো হবে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর ড্রাগ রেগুলেটরি থেকে রিলিজ পাওয়ার পর দেশের ৬৪টি জেলায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাঠানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ বলেন, যতদিন পর্যন্ত বেক্সিমকোতে করোনার ভ্যাকসিনগুলো থাকবে ততদিন পুলিশ প্রহরায় রাখা হবে। এমনকি দেশের ৬৪টি জেলায় পৌছানোর সময়ও পুলিশী প্রহরা থাকবে।