পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কৃষকরা আমন ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চারা রোপণে মেতে উঠেছেন তারা। মঙ্গলবার উপজেলা ও পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প, ডিজেল চালিত ইঞ্জিন (শ্যালো মেশিন) দিয়ে সেচ সরবরাহের মাধ্যমে জমিতে কৃষক-কৃষাণীরা জমিতে হালচাষ, মই টেনে জমি সমান করা, সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন, আবার অনেকে অধিক শ্রমিক নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বোরোর চারা রোপণ করছেন। উচ্চ ফলনশীল আটাশ, ব্রি-ধান-২৯, ব্রি-ধান-৫৮, ব্রি-ধান-৭৪, ছাড়াও বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ও স্থানীয় জাতের ধানের চারা রোপন করছেন তারা। উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভীমপুকুর গ্রামের কৃষক আবদুর জব্বার ও বোদা পৌরসভার নাজিরপাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, অধিকাংশ জমিতে বোরো ধান রোপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে তারা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন। বোরে চাষিরা যেন সঠিক ভাবে ফসল চাষাবাদ ও পরিচর্যা করতে পারে সে দিকে লক্ষ রেখে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মাঠে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার শীতে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় সংকট এড়িয়ে স্বস্তিতে চারা রোপণ করতে পারছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্প সময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। এ বছর আবহওয়া আনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেলে এ এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ধানের নায্য মুল্য পাওয়া কৃষকরা বেশি করে ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।