রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে আবারও কুয়াশায় সোমবার দিবাগত মধ্যরাত ৩টা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সাড়ে ৪ ঘন্টা ফেরি বন্ধ ছিল। এর আগে যানবাহন বোঝাই তিনটি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। নদী পাড়ি দিতে না পারায় উভয় ঘাটে পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কুয়াশায় নৌযান পারাপার ব্যাহত হয়। সোমবার দিবাগত রাতে আবারও কুয়াশা পড়লে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকে। রাত বাড়ার সাথে কুয়াশা আরো বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ৩টা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটি বড় ফেরি নদীতে আটকা পড়ে। সাড়ে ৪ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চালু হয়।
খোরশেদ আলম জানান, সাড়ে ৪ ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ে দুই শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী আরো প্রায় তিনশ’র মতো বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। উভয় ঘাটের মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাসসহ পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। রাতে ঘাটে আসা অধিকাংশ যাত্রীবাহি নৈশকোচ সকালেই পার হওয়ায় বেশিরভাগ পন্যবাহি গাড়ি আটকে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়ায় দেখা যায়, ফেরি ঘাট সড়কে দুই লাইনে বেশ কিছু যাত্রীবাহি বাস ও পন্যবাহি গাড়ি রয়েছে। এরপর থেকে মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা এক লাইনে শুধু পন্যবাহি গাড়ির লম্বা লাইন। এসব গাড়ি আরো এক-দুইদিন আগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূর গোয়ালন্দ মোড় আহ্লাদিপুর এলাকায় আটকে ছিল।
খুলনা থেকে বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে ঢাকায় ছেলে সেলিমের বাসায় যাচ্ছিলেন বয়স্ক আবদুর রহিম ও তার স্ত্রী। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে রওয়ানা করে মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছে আটকে আছেন। প্রায় ৮ ঘন্টা আটকে থাকার পর বলেন, কুয়াশা ও শীতে এভাবেই খোলা গাড়িতেই বসে ছিলাম। অনেক কষ্ট হলেও কিছুই তো করার নেই।