‘মার্কা নিছি ব্রিজ, থাকিও ব্রিজের নিচেই, সবাই দয়া করে একটি করে ভোট দিবেন’ এভাবেই ইজিবাইকে করে মাইক নিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচারনা নিজেই চালিয়ে যাচ্ছেন আবদুল হালিম। তিনি এবারের শেরপুরের নকলা পৌরসভা নির্বাচনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী। স্থানীয় ভিক্ষুক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
আলোচিত ওই কাউন্সিলর প্রার্থী পরিবার পরিজন নিয়ে নকলা শহরের উত্তর বাজারের জোড়া ব্রিজের নিচে বসবাস করছেন। বহুদিন ধরে তার কাউন্সিলর হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও টাকা পয়সা না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তাই এবারের নকলা পৌরসভা নির্বাচনে তার মনের আশা ব্যক্ত করেন তিনি। ইচ্ছে থাকলেও যে উপায় হয় তারই প্রমাণ হচ্ছেন এই আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মানুষ আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। এখন এলাকার যার যার সামর্থ্যনুযায়ী ১শ, ২শ ও ৫শ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। টাকা বেশি খরচ হবে এজন্য আমি নিজেই ইজিবাইকে করে আমার নির্বাচনী প্রচারণা করছি। আমার বউ এলাকায় চা বানিয়ে মানুষকে খাওয়াচ্ছেন এবং ভোট চাইছেন। চা বানাতে চা-পাতি, চিনি এলাকার মানুষরাই দিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী, লাল মিয়া, রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, আবদুল হালিম ভাইয়ের ইচ্ছে সে যেনো কাউন্সিলর হয়। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। তার একটি টাকাও নেই, সব টাকা এলাকার মানুষ দিচ্ছেন। আশা করছি আমরা আবদুল হালিম ভাইয়ের ইচ্ছে পূরণ হবে তিনি ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাও রয়েছে।
নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নূর হোসেন বলেন, আবদুল হালিম কাকা ওই ওয়ার্ডের ভিক্ষুক সমিতির সভাপতি। এজন্য তার কাছে অনেক গরীব মানুষ আসে। সে নিজেও ব্রিজের নিচেই থাকে পরিবার পরিজন নিয়ে। এলাকাবাসী সহযোগিতা করছে তাকে কাউন্সিলর হতে।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে আবদুল হালিম ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ভুলের কারণে তাঁর প্রার্থীতা বাতিল হলেও এবার তাঁর প্রার্থীতায় বৈধতা রয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি নকলা পৌরসভার নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নকলাবাসী তথা নকলা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের জনগন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নির্ধারিত দিন ও ক্ষণের। কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তারা আশা ব্যক্ত করেন নকলা ৫নং ওয়ার্ডের আবদুল হালিমই এবার কাউন্সিলর হবেন।