খালেক মোল্যা (৪৬) ফরিদপুর জেলার মধুখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোন্দাদিয়া এলাকার বাসিন্দা। ছোট পরিসরে মুদি দোকানের আয়ে চলছিল তার এক পুত্র, দুই কন্যা ও এক স্ত্রী নিয়ে সর্বমোট পাঁচ জনের সংসার। অভাব থাকলেও জীবনের চাকা থেমে থাকেনি তাদের। কিন্তু কয়েক বছর আগে বুকে ব্যথা নিয়ে স্মরণাপন্ন হন ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানতে পারেন তার হার্টে ব্লক আছে। ভেঙে পড়েন খালেক ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম। চোখেমুখে অন্ধকার দেখা শুরু সেই তখন থেকেই যা; আজও ছায়ার মতো অনুসরণ করে আছে পরিবারটিকে।
সামর্থ না থাকলেও পৈত্রিক জমি বিক্রি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকাস্থ শেরে-বাংলা নগর জাতীয় হৃদ রোগ ইনিস্টিটিউটে। সেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পূনরায় নিশ্চিত হন তার হার্টে দুটি ব্লক থাকার বিষয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেন বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে হার্টে রিং স্থাপনের। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না থাকায় ঔষধপত্র সেবনের মাধ্যমে থেমে থাকতে হয় তাকে। ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরে আসলেও মুদি দোকান আর সচল করা সম্ভব হয়নি; বিপরীতে দোকানের মালপত্র বিক্রি করে এতোদিন সংসার চলেছে। বর্তমানে সেই অবস্থাও নেই। পাঁচজনের পরিবার নিয়ে খালেকের এখন দিনাতিপাত চলছে না। কোন কাজ করার মতো শারীরিক অবস্থাও তার নেই। এই প্রতিবেদকের নিকট অশ্রুসিক্ত চোখে অসুস্থ খালেক জানান পরিবারের একমাত্র উপর্যানক্ষম ব্যক্তি তিনি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেলে আমার সন্তানরা এতিম হয়ে যাবে; আমার স্ত্রী তাদের নিয়ে কোথায় দাঁড়াবে! ডাক্তারের ভাষ্য মতে সর্বোমোট তিনলক্ষ টাকা হলে তার চিকিৎসা সম্ভব বলে তিনি জানান। সমাজের দানশীল মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন আপনাদের একটু মানবিক সহযোগিতায় আমি আমার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি। বেঁচে থাকার আকুল আবেদন জানানো খালেক মোল্যার মোবাইল নম্বর ০১৯৬৩-৭৭৮৭১৪ (বিকাশ পারসোনাল)।