জামালপুরে ইউপি মেম্বারসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজীবন কারাদ- এবং ১২জনকে নির্দুসী খালাস দিয়েছে আদালত। গত ২৭জানুয়ারী বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাৎ জাহান ঝুনু এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম তারা জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেলে পিংনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নলসন্ধ্যা গ্রামের বাসিন্দা মো. ফজলুর রহমান (৫০) ও তার সঙ্গী ইউসুফ (৫২) যমুনা নদীর বাসুরিয়া খেয়াঘাট থেকে কোরবান আলী তালুকদারের (৬০) ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে বাড়ী ফিরছিলেন। চর নলসন্ধ্যা খেয়াঘাটের কাছে পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে দন্ডপ্রাপ্তরা ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে তাদের উপর হামলা ও মারধর করে। একপর্যায়ে নৌকাসহ তাদেরকে অপহরণ করে যমুনা নদীর গভীরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার তিনদিন পরে ইউসুফ ও পাঁচদিন পরে ফজলুর রহমানের মৃতদেহ যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া কোরবান আলী এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন (৪৫) বাদী হয়ে আবদুল হাইকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার সকল আসামীকে আটক করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামি বেলাল (৩৫) কে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমান, হুরমুজ আলী (৩৭) কে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১২ জনের বিরোদ্ধে নিঃর্দুষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে খালাসের আাদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাৎ জাহান ঝুনু। সকল আসামীর উপিস্থিতিতেই এই রায় দেয়া হয়। মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।