আগামী ৩০জানুয়ারী তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার জয় জয়কার রব উঠেছে। চায়ের দোকান, বাস স্ট্যান্ড, হাট-বাজার এমনকি অফিস-আদালতে পর্যন্ত রেজাউল করিম রেজার জয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। সবাই বলছেন আসন্ন পৌর নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন।
পৌরসভার সচেতন ভোটার মহল বলছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম রেজা অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সৎ এবং ক্লিন ইমেজের একজন মানুষ। তাছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং শো-ডাউন করে শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। আর মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সর্বস্তরের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পৌসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠক করে সরকারের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। সেই সঙ্গে তিনি সমাজের সেবামূলক কাজেও অবদান রেখে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পৌরসভার দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ তার কাছে আসলে তিনি তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে আসন্ন নির্বাচনে সর্বস্তরের পৌরবাসী তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও তিনি সফল। তিনি দীর্ঘদিন সফলতার সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেই সফলতা এবং যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীও ঐক্যবদ্ধভাবে ত্যাগী এবং পরীক্ষিত ঐ নেতার পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ফলে দিন যতো যাচ্ছে নির্বাচনে তার জয়ের পাল্লা ভারি হয়ে উঠছে। তাছাড়া আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র কামাল বিশ্বাসের কোন জনপ্রিয়তা নেই। তাছাড়া দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচনে তার সাথে উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রথম সারির কোন নেতৃবৃন্দ না থাকায় তিনি প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছেন। সেকারণে আরো আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম রেজার নৌকার পালে জয়ের সুবাতাশ বইছে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ওই পৌরসভা নির্বাচনে মোট ২০হাজার ৪‘শ ৮৪জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০হাজার ২‘শ ৬১জন এবং মহিলা ভোটার ১০হাজার ২‘শ ২৩জন। নির্বাচনে ৩জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ২জন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত ২জন মেয়র পদপ্রার্থী, ৫জন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও ২০জন সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিস ১০টি ভোট কেন্দ্রে ৫৮টি ভোট কক্ষের মাধ্যমে ঐ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী জানান।