১০দিন আগে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তালাক প্রাপ্ত ওই স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ডাকযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তালাক নামা এসে পৌঁছিলে এ খবর ফাঁস হয়ে যায়। পরে মানবাধিকার কর্মীরা তালাক প্রাপ্ত ওই গৃহবধুকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেয়। জানা যায়, ১৫ বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের মেয়ে হাসিনা বেগমের সাথে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মেষেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রব্বানীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক লোভী স্বামী একের পর এক যৌতুক দাবী করে। পিতৃহীন হাসিনা বেগম ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রি করে এ পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা এনে তোলে দেয় যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে কিন্তু এরপর চাহিদা আরও বেড়ে যায়। লোভের বসবতী হয়ে আরো টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে স্ত্রীর উপর। একপর্যায়ে যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী হাসিনা বেগমকে বাড়ীতে রেখেই গোপনে গত ২০ জানুয়ারী ঢাকার এক কাজী অফিসে তালাক প্রদান করে। এই ঘটনার ৭ দিন পর ওই তালাক নামাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছিলে গোপন তালাকের বিষয়টি ফাস হয়ে যায়। পিতৃহীন হাসিনা বেগমের ভাই বকশীগঞ্জ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম সওদাগরের বরাবরে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দিলে মানবাধিকার কমিশন বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখা’র সভাপতি ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের হস্তক্ষেপে বকশীগঞ্জ পৌর মানবাধিকার কমিটির সভাপতি মোসাদ্দেুকর রহমান মানিক ও সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নাদিম তালাক প্রাপ্ত ওই গৃহবধুকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের কাছে প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা মানাবাধিকার কমিটির সহসভাপতি সরকার আবদুর রাজ্জাকও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ মানবাধিকার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম ইসলাম জানান, তালাক প্রাপ্ত ও নির্যাতিত ওই গৃহবধুর অধিকার আদায়ে মানবাধিকার কমিশন বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখা আইনগত সহায়তা প্রদান করবে।