‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে স্থায়ীভাবে হড়গ্রাম কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। এ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই অনতিবিলম্বে দাবির বাস্তবায়ন না হলে নগর ভবন ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।’
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ‘হড়গ্রাম কাঁচাবাজার’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত মানবববন্ধন-সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বক্তাগণ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করেন হড়গ্রামের ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী। হড়গ্রাম এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানবববন্ধন-সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ‘হড়গ্রাম কাঁচাবাজার’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেই বার বার একটি কুচক্রি মহল বাধার সৃষ্টি করে আসছে। ফলে দিনের পর দিন রাস্তা দখল করে ব্যবসা করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আর রাস্তায় ব্যবসা করার কারণে যানবাহন চালনায় সমস্যার পাশাপাশি অনেক সময় দোকানের মধ্যে রিক্সা-ভ্যান ঢুকে যাচ্ছে। এতে এসব দোকানীদের কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অপ্রত্যাশিতভাবে এসব যানবাহন দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ায় ব্যবসায়ীরাও আহত হচ্ছেন। আবার রাস্তা দখলের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট এসে জরিমানাও করেন। এসব থেকে আমরা মুক্তি চাই। আর তাই তারা নির্ধারিত স্থানে দ্রুত বাজার স্থানান্তরের বাস্তবায়ন চাই।
হড়গ্রাম কাঁচাবাজার বহুমুখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খোকন, হড়গ্রাম নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ আক্তার লালন, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, বাজার কমিটির উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন, মাইদুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, রেজাউল করিম প্রমুখ।
এ সময় তাদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান, ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সম্পাদক মন্ডলির সদস্য আবদুল মতিন, রাজপাড়া থানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
কর্মসূচিতে হড়গ্রাম বাজার বহুমুখি সমিতি, রাজপাড়া থানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি, ফুটপাত ব্যবসায়ী সমিতি, হড়গ্রাম নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য এবং শহরের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি নগরীর সাহেববাজার-রেলগেট হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর ব্যবসায়ীরা দ্রুত বাজার বাস্তবায়নের দাবিতে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বরাবর রাসিক দপ্তরে একটি স্মারকলিপি দেন।